
মোঃ সাইফুল ইসলাম,গাবুরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদী থেকে একটি বিপন্ন চিত্রা হরিণ উদ্ধার করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে নদী পার হওয়ার সময় স্রোতের টানে ভাসতে থাকা হরিণটিকে উদ্ধার করে পরবর্তীতে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেরা একটি হরিণকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হলে গাবুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় একদল যুবক নৌকা নিয়ে নদীতে নেমে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় তারা হরিণটিকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন।
হরিণ উদ্ধারের খবর পাওয়ামাত্র সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা হরিণটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগের হেফাজতে নিয়ে যান। এ বিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান
“প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে হরিণটি সুস্থ বলে মনে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ পানিতে থাকায় সেটি কিছুটা ক্লান্ত ছিল। আমাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হরিণটিকে পুনরায় সুন্দরবনের গহীনে অবমুক্ত করা হবে।”
বন কর্মকর্তাদের মতে, সুন্দরবনে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি, তীব্র স্রোত অথবা অনেক সময় খাদ্যের সন্ধানে হরিণ বা বাঘের মতো বন্যপ্রাণী নদী পার হয়ে লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসে। তবে গাবুরার বাসিন্দাদের এই সচেতনতা এবং বন্যপ্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এক সময় লোকালয়ে বন্যপ্রাণী এলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বা শিকারের প্রবণতা থাকলেও, বর্তমানে বন বিভাগ ও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রচারণায় জনসচেতনতা বেড়েছে। স্থানীয়দের এই সহযোগিতামূলক আচরণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।