
সাইফুল ইসলাম শ্যামনগর
শ্যামনগরের রাজনীতিতে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন এক জননেতা—নুরুজ্জামান। তিনি শুধু একটি পরিচিত মুখই নন, বরং একজন রাজপথের নির্ভীক যোদ্ধা, সংগ্রামী চেতনার ধারক ও বাহক। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সহযোগী সংগঠন কৃষক দলের শ্যামনগর উপজেলা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। দলীয় রাজনীতিতে তার নিষ্ঠা, নেতৃত্বগুণ ও কর্মীবান্ধব ভূমিকা তাকে তৃণমূলের প্রিয় মুখে পরিণত করেছে।
দলীয় আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর অংশগ্রহণ বরাবরই ছিল সক্রিয় ও বলিষ্ঠ। বিশেষ করে শ্যামনগরে বিএনপির আয়োজিত প্রতিটি কর্মসূচিতে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজপথের সম্মুখভাগে থেকে। মিছিল-মিটিংয়ে তাঁর স্লোগান কণ্ঠে প্রাণ ফিরে পায় কর্মীরা। এই কারণেই স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁকে বলা হয় ‘স্লোগান মাস্টার’।
বহুবার রাজনৈতিক কারণে কারাবরণ করেছেন নুরুজ্জামান। কিন্তু কখনো দমে যাননি। কারাগার থেকে ফিরে আরও দৃঢ় মনোবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের কাজে, জনগণের পাশে। তাঁর জীবন কাহিনি যেন এক সংগ্রামী কর্মীর আদর্শিক অভিযাত্রা।
উপজেলা কৃষক দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি সংগঠনকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছেন। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি পুনর্গঠন করেছেন, তরুণদের নেতৃত্বে আনার ক্ষেত্রে নিয়েছেন উদ্যোগী ভূমিকা। তাঁর নেতৃত্বে কৃষক দল এখন শুধু একটি সহযোগী সংগঠন নয়, বরং বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে অন্যতম শক্তিশালী অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও মাঠে-ময়দানে ব্যস্ত সময় পার করছেন নুরুজ্জামান। ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে দিন-রাত কাজ করছেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে। ইউনিয়ন থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনি দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করছেন, সক্রিয় করছেন নেতাকর্মীদের।
নুরুজ্জামানের ভাষায়, “আদর্শের রাজনীতি কখনো পরাজিত হয় না। গণমানুষের শক্তিই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়।”
এই বিশ্বাস থেকেই তিনি আজও আছেন রাজপথে, দলের পতাকা বুকে ধারণ করে।
তাঁর মত নেতারাই তৃণমূল রাজনীতিকে উজ্জীবিত করে, দলকে করে সংগঠিত, আর আন্দোলনকে দেয় প্রাণ।