
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
খুলনা বিভাগীয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা মোতালেব সিকদারকে গুলি করার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সীমান্ত এলাকা। দুষ্কৃতিকারীরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে সীমান্ত এলাকাগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে এক অভেদ্য নিরাপত্তা বলয়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, অপরাধীদের ধরতে এবং সীমান্ত পারাপার ঠেকাতে
সীমান্ত সিল যশোর রিজিয়নের আওতায় সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
চেকপোস্ট ও টহল বিজিবির সাতটি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোট ৫৭টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে আরও ৮৭টি বিশেষ টহল দল।
যৌথ অভিযান সন্দেহভাজন প্রতিটি পয়েন্টে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করেছেন।
সোমবার সকাল আনুমানিক ১০টা ৫০ মিনিটে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় এনসিপি’র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও শ্রমিক উইংয়ের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোঃ মোতালেব সিকদার (৪২) দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পর পরই অপরাধীদের গ্রেফতারে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়।
সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং দুষ্কৃতিকারীদের অবস্থান শনাক্ত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছে বিজিবি। সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা তথ্যের সন্ধান পেলে দ্রুত তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য সীমান্তে বিশেষ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।