
নিজস্ব প্রতিবেদক,
সম্প্রতি খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিবাকর মন্ডল এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব ও অর্থ পাচারের যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ভুল, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রমাণিত হয়েছে। স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের দেওয়া মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ভিত্তিতে এই সংবাদটি পরিবেশিত হয়েছিল।
প্রকৃত সত্য ও অনুসন্ধান
সংশ্লিষ্ট শিক্ষক দম্পতির সাথে যোগাযোগ এবং আমাদের বিশেষ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তারা দীর্ঘকাল ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কয়রার শিক্ষা খাতে অবদান রেখে চলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা ভারত গমনের অভিযোগটি ছিল একান্তই ব্যক্তিগত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে, যা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষেই সম্পন্ন হয়েছে।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে নিচের বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হলো
নাগরিকত্ব বিতর্ক,অভিযুক্ত শিক্ষক দম্পতির ভারতের কোনো আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড নেই। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে।
অর্থ পাচারের সত্যতা,তাদের অর্জিত সম্পদ সম্পূর্ণ বৈধ এবং বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমেই তাদের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হয়। বিদেশে জমি কেনা বা অর্থ পাচারের কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ভুল তথ্যের উৎস, তদন্তে দেখা গেছে, স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে সংবাদমাধ্যমকে মিথ্যা অডিও রেকর্ড ও ভুল তথ্য সরবরাহ করেছিল।
সম্পাদকের বক্তব্য
এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। ডিএসডি টিভি এবং দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত সব সময় সত্যের পথে অবিচল। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষক সমাজ জাতি গড়ার কারিগর। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। তদন্ত সাপেক্ষে যে বা যারা এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সতর্কবার্তা, জনগণের প্রতি অনুরোধ, যাচাই না করে কোনো সম্মানীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হবেন না। আমরা এই শিক্ষক দম্পতির প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং তাদের সম্মানহানি হয় এমন সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি।