
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্যামনগর উপজেলা ক্রাইম রিপোর্টার
: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের তালবাড়িয়া গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে বিষ প্রয়োগে ৮ থেকে ১০টি ছাগল মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তালবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেকের ৮ থেকে ১০টি ছাগল প্রতিদিনের মতো চিংড়ি ঘেরের পাশের রাস্তায় ঘাস খেতে যায়। ওই সময় একই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত গঙ্গাধার দাশের ঘেরের পাশ থেকে ঘাস খেয়ে ছাগলগুলো বিকেলে বাড়িতে ফিরে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ছাগল মারা যায়। পরে একের পর এক ছাগল অসুস্থ হতে শুরু করে।
আতঙ্কিত মালেক পরিবারের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ স্থানীয় পশু চিকিৎসক আল মামুনকে খবর দেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে অসুস্থ ছাগলগুলো পরীক্ষা করে জানান, এগুলো কোনো পয়জন বা বিষ জাতীয় কিছু খেয়েছে। এ তথ্য জানার পর মালেক পরিবার আশপাশে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে, গঙ্গাধার দাশ তার চিংড়ি ঘেরের রাস্তায় বিষ প্রয়োগ করেছিলেন।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাজী নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখভাল করেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, এতগুলো ছাগল মারা যাওয়ায় তারা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ছাগলগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ টাকারও বেশি। এদিকে স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও তারা কোনো জরুরি ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকরা অভিযুক্ত গঙ্গাধার দাশের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনাটি গ্রামের পরিবেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।