
বিশেষ প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিন কাটিয়া গ্রামের ফরিদা খাতুন (৬২) মারধর ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০ ডিসেম্বর সকালে আসামিরা বাদির ভাড়া বাড়িতে লোহার রড, ডাসা ও বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে ফরিদা খাতুন ও তার ছেলের ওপর হামলা চালায়। এসময় ফরিদা খাতুনের বাম হাতের একটি আঙ্গুল ও চোখে মারাত্মক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে ২১ ডিসেম্বর, ফরিদা খাতুন বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। যার মামলার নাম্বার ৩৯ (জি আর ৬৬৭/২৫)।
মামলা নথিভুক্ত হলেও এখনো আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বাদি অভিযোগ করেন, আসামীরা প্রকাশ্য ঘোরাফেরা করছে এমনকি আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসলেও। পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আসমীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে।
উল্টো পুলিশ ২৬ ডিসেম্বর সন্ধায় তার ছেলে কে বাসা থেকে থানায় ডেকে নিয়ে মাদক মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচারের জন্য উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ সহ পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।
এজাহারে আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে: ১. নজরুল ইসলাম (৪০), ২/ তরিকুল ইসলাম (৩৮), ৩/ সাইদুল ইসলাম (৪৪), ৪/ রফিকুল ইসলা(৪০), ৫. আব্দুর রহমান (৩০) ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পিংকু জানান আসামীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আসামীরা প্রকাশ্য ঘুরছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি তার কোন উত্তর দেননি।
স্থানীয় ও সচেতন মহলের দাবি, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করা হোক। এবং
অসহায় পরিবারটির নিরাপত্তায় রাষ্ট্র এগিয়ে আসার আহবান জানান।