
মোঃ আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন শ্যামনগর উপজেলা ক্রাইম রিপোর্টার
বিএনপির ২নং ওয়ার্ড কমিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক সিরিজ অভিযোগের সৃষ্টি হয়েছে। প্রার্থী সালাউদ্দিন আল গালিব জিকো (সভাপতি প্রার্থী) ওআবুজার গাজী (সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী) দাবি করেছেন, সময় মতো ৯০ জন বিশিষ্ট ভোটার তালিকা জেলা বিএনপিতে জমা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা গায়েবীভাবে গুম হয়ে গেছে। ফলে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ তুলেছেন।
জিকো সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সাংগঠনিক আইন মেনে তালিকা সংগঠিত করেছি; ঠিক সময়ে জমা দিয়েছি। হঠাৎ করে বলা হলো, আমাদের তালিকা পাওয়া যায়নি — এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য অন্যায়।
আবুজার গাজী দাবি করেন, নির্বাচনের আগে যে তালিকা জমা দেওয়া হয়, সেটি যদি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মুছে ফেলা হয়, তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়াটি কোথায় ন্যায্য?
স্থানীয় বিএনপি কর্মী ও সমর্থকরা বলছেন, এটি শুধুই সংগঠনের অভ্যন্তরীণ লড়াই নয়, এটা দলের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসহানির বিষয়। যারা সত্যি কাজ করে, তাদেরকে এভাবে বঞ্চিত করা যায় না।— এক স্থানীয় অভিযোগ।
প্রার্থী দু’জনের মতে, জেলা বিএনপির করণীয় — তালিকার তথ্য পুনরুদ্ধার করা, নকল কপি যাচাই করা ও প্রার্থিতা পুনর্বিবেচনা করা। তাদের দাবি, যদি প্রয়োজন হয়—we’ll go legal।
নির্বাচনের এ প্রেক্ষাপটে স্থানীয় বিএনপি নেতা-মহলকে তারা বলছেন — ন্যায্যতা ও দলের বিচারবোধ রক্ষা করুন।
এক নেতা বলেন, অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে কমিটি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। উদ্যোগ নিতে হবে।
সংগঠনের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও মান রক্ষার আহ্বান করেছেন দলীয় আশেপাশের নেতারা।
আঞ্চলিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২নং ওয়ার্ডে এই প্রক্রিয়া যদি বিচারহীন ছাড় দেওয়া হয়, তাহলে তা পূর্বাভাস দেবে—সংগঠন ছেদন ঘটতে পারে নির্বাচনী সময়ে।
দলীয় কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে — আমরা দলের প্রতি আস্থা নিয়ে নাম লিখিয়েছি, এখন আমাদের অধিকার কোথায় গেল?— এমন প্রশ্ন তারা তুলেছেন।
এক ভোটার বললেন, আস্থা ছিল , এখন সেই আস্থা খসে যাচ্ছে।
দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃত্বকে তারা দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন, যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া ন্যায্য হয় এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজন এড়ানো যায়।
অফিসিয়ালভাবে এখনও জেলা বিএনপি থেকে কোনো স্পষ্ট বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় রাজনৈতিক উত্তেজনা তদারকির মধ্যেই রয়েছে।
নামহীন একটি সূত্র জানিয়েছেন—যদি দোষ প্রমাণ হয়,২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানো তালিকা ও পুরনো কমিটি রিকনসিডার করার পথ খোলা আছে।