1. live@dailysatkhirdiganta.com : NEWS TV : NEWS TV
  2. info@www.dailysatkhirdiganta.com : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত :
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন

বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে মানববন্ধন

মোঃ শহিদুল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধি ॥
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ শহিদুল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধি ॥

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবল থেকে ঘরবাড়ি, মসজিদ ও ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের উজান কলকিহারা গ্রামের স্থানীয়রা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয় গ্রামবাসী, কৃষক, শিক্ষার্থী ও সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবদুল মালেক, শহিদুল্লাহ, নুর ইসলাম, আব্বাস আলী ও হাবিবুর রহমান খোকন প্রমুখ।

মাওলানা আবদুল মালেক বলেন, “প্রতিবছরই বন্যার সময় আমাদের ঘরবাড়ি ও ফসল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ বছর ভাঙনের তীব্রতা আরও বেশি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মসজিদ, কবরস্থানসহ বসতভিটাও নদীতে হারিয়ে যাবে। মসজিদটি ভেঙে গেলে আর নতুন করে করার সামর্থ্য আমাদের থাকবে না।”

স্থানীয়রা জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দশানী, ব্রহ্মপুত্র ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। ইতোমধ্যে মেরুরচর ইউনিয়নের শেখেরচর, মাইছেনির চর, ভাটি কলকিহারা, উজান কলকিহারা, খেওয়ারচর, জাগিরপাড়া, আউলপাড়া, নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের কুশলনগর, সাজিমারা, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারী, কুতুবেরচর, বাঙ্গালপাড়া, খানপাড়া, চর আইরমারী ও চর কামালের বাত্তী এলাকায় ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

শতাধিক পরিবার ইতোমধ্যেই ভিটেমাটি হারিয়ে দিশেহারা। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বহু ফলদ, বনজ গাছপালা এবং বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি কিংবা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আশি বছরের বৃদ্ধা ছকিনা খাতুন ভাঙনকবলিত ঘরবাড়ির দিকে আঙুল তুলে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “সারা জীবন কষ্ট করে যা গড়েছিলাম, নদী এক রাতে সব নিয়ে গেল। এখন কোথায় যাবো?” তার এই আর্তনাদ মানববন্ধনে উপস্থিত সবার মন ছুঁয়ে যায়।

উজান কলকিহারা ও আশপাশের গ্রামের মানুষদের দাবি, নদী ভাঙন শুধু জমি-ঘরবাড়ি নয়, পুরো এলাকার অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই জনপদ মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আমরা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাঙ্গালপাড়ায় জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ভাঙনকবলিত এলাকাতেই জিও ব্যাগ স্থাপন করা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।”

মোঃশহিদুল ইসলাম
জামালপুর
০১৭৬৩২৯৮৪৪৪

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত