1. live@dailysatkhirdiganta.com : NEWS TV : NEWS TV
  2. info@www.dailysatkhirdiganta.com : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত :
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন

নিরাপত্তার চাদরে ১৪ সেনা কর্মকর্তা: ৩৫ জন কারারক্ষীর পাহারায় সাবজেলে স্থানান্তর

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্যামনগরে উপজেলা ক্রাইম রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

​মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্যামনগরে উপজেলা ক্রাইম রিপোর্টার
​বিশেষ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো ১৪ জন বর্তমান ও একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাসে স্থাপিত বিশেষ সাব-জেলে রাখা হয়েছে। এই হাই-প্রোফাইল বন্দিদের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে কারা কর্তৃপক্ষ নিযুক্ত করেছে মোট ৩৫জন কারারক্ষী। এই বিপুল সংখ্যক কারারক্ষীর নিশ্ছিদ্র পাহারায় আসামিদের সাবজেলে স্থানান্তর করা হয়েছে।
​রবিবার (২২অক্টোবর, ২০২৫) দুপুরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাসের ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’ নামের সাময়িক কারাগারে আনা হয়। আদালতের আদেশের পর পরই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এর আগে গত ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনটিকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
​সাবজেলে স্থানান্তরের আগে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদেরকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গুম-খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি পৃথক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে দশজন সাবেক র‍্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলার আসামি।
​আসামিদের মধ্যে আছেন একাধিক মেজর জেনারেল ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এবং একজন অবসরকালীন ছুটিতে আছেন বলে সেনা সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
​সূত্র জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সংবেদনশীলতার কারণে এই সেনা কর্মকর্তাদের সাধারণ কারাগারে না রেখে সেনানিবাসে স্থাপিত সাবজেলে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এই সাব-জেল কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হলেও সার্বিকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে থাকবে।
​এদিকে, এতজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তার একযোগে কারাবন্দি হওয়া এবং তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষের অনুরোধেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সাময়িক কারাগারের প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
​অভিযুক্তদের সাবজেলে নিয়ে যাওয়ার সময় কড়া পুলিশ ও সামরিক প্রহরা দেখা যায়। ছবিটি তারই ইঙ্গিত বহন করছে, যেখানে কারারক্ষী ও সামরিক পোশাক পরিহিত কর্মকর্তারা আসামিদেরকে ঘিরে রেখেছেন।
​মামলার বাদী পক্ষ ন্যায়বিচার প্রাপ্তির আশা প্রকাশ করেছেন, অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের আইনানুগ অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, আসামিদের কারাগারে পাঠানো হলেও তারা এটিকে ‘গ্রেপ্তার’ না বলে ‘আত্মসমর্পণ’ হিসেবে দেখছেন।
​এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে দেশের সামরিক ও বেসামরিক মহলে তীব্র আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত