ডেক্স নিউজ
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে ঘিরে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি—তদন্ত কেন্দ্রের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে একটি শক্তিশালী মাদক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার মূল কাণ্ডারি হিসেবে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের নাম উঠে এসেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, বুধহাটা তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত কনস্টেবল আতাউর রহমান ও কনস্টেবল আসাদুজ্জামান স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে কুল্লার মোড়–ব্যাংগদাহ–বাঁকা বাজার হয়ে খুলনা শহরে মাদক পরিবহনের রুট সক্রিয় করেছেন। অভিযোগকারীদের ভাষ্যমতে, এই রুট দিয়ে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দীর্ঘদিন ধরে পাচার হয়ে আসছে।

মাদক পরিবহনের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগ থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে নাম এসেছে
আলতাব, পিতা মৃত নুর আলী,আমির হামজা, পিতা আব্দুল হান্নান,পারভেজ হোসেন, পিতা মহাব্বত আলী
সিদ্দিক, পিতা আনার সর্দার,রেজাউল,আহমেদ আলী সর্দার, পিতা গফুর সর্দার, গ্রাম-শ্বেতপুর
অভিযোগকারীরা জানান—ব্যাংগদাহ বাজার থেকে মাদক এনে কুল্লার মোড় হয়ে আতাউরের বাড়ির আশপাশের এলাকা ব্যবহার করে তা বাকা বাজারে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে খুলনা শহরে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি—কনস্টেবল আতাউর অতীতে পাইকগাছা উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ-সম্পাদক পদে ছিলেন। সেই রাজনৈতিক পরিচয়কে ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদেরও বিভিন্নভাবে সুবিধা দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়—কনস্টেবল আতাউর ও আসাদ পূর্বে এএসআই (নিঃ) হান্নান এর সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। হান্নান দেবহাটা থানায় বদলি হওয়ার পরও ব্যাংগদাহ–পারুলিয়া হয়ে একই রুটে মাদক পরিবহনের কার্যক্রম চলতে থাকে।
স্থানীয়দের দাবি—বুধহাটায় কর্মরত থাকাকালে ডলার জব্দের একটি ঘটনায় বড় অংকের লেনদেনের অভিযোগ উঠলে এএসআই হান্নানকে দেবহাটায় বদলি করা হয়। দেবহাটায় থাকার সময়ও তার বিরুদ্ধে মাদক পরিবহন নজরদারিতে দুর্বলতার অভিযোগ স্থানীয়দের মধ্যে শোনা যায়—এমনটাই দাবি অভিযোগকারীদের।
কনস্টেবল আসাদ বুধহাটা ক্যাম্পের বক্সী ইজিবাইক স্ট্যান্ড,স্থানীয় মাছের আড়ত,স্থানীয় হাসপাতাল,এবং মাদক পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করেন।এদিকে কনস্টেবল আতাউরকে এসব কর্মকাণ্ডে আসাদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি—তারা দু’জন মিলেই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন।অভিযোগকারীরা দাবি করেন—বুধহাটা তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এসআই (নিঃ) রহিম এবং এএসআই (নিঃ) শেখ হাসান মাহমুদ এসব কার্যক্রমে নীরব ভূমিকা পালন করেছেন, এমনকি অভিযোগ অনুযায়ী টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারাতেও রয়েছেন।
এএসআই শেখ মো. হাসান মাহমুদ,কনস্টেবল আসাদ,কনস্টেবল আতাউর,এসআই রহিম,এএসআই হান্নান
স্থানীয়দের অভিযোগ—এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে হয়রানি, হুমকি এবং প্রশাসনিক চাপের মুখে পড়তে হয়।
অভিযোগকারীরা আরও বলেন—এএসআই হান্নান বুধহাটা ক্যাম্পে থাকাকালে তাদের ব্যবসায় সমস্যা হচ্ছিল, তাই তাকে বদনাম ছড়িয়ে দেবহাটায় বদলি করানো হয়।