ডেক্স নিউজ
শ্যামনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্তের সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ মেহেদী হাসানকে পরিবহন থেকে নামিয়ে আটক করে শারীরিক নির্যাতন, অর্থ ছিনতাই এবং মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর স্ত্রীকে ফোন ফেরত দেওয়ার নাম করে থানার ওসির বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ারও মারাত্মক অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্তের সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ মেহেদী হাসান গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে ঢাকা থেকে শ্যামনগর টার্মিনালে পৌঁছালে তাঁকে পরিবহন থেকে নামিয়ে নেন শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির মোল্লার নেতৃত্বে এসআই জহুরুল ইসলাম সহ আরও ২-৩ জন পুলিশ সদস্য।
শারীরিক নির্যাতন ও চাঁদাবাজি তাঁকে নানানভাবে হয়রানির পর শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এসআই জহুরুল ইসলাম তাঁর কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেন। এরপর ওসি হুমায়ুন কবির মোল্লা আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয় দেখান। বাধ্য হয়ে স্ত্রী খালেদা ঢাকা থেকে তাঁর ব্যক্তিগত ফোনে ৪০ হাজার টাকা পাঠালে, তিনি সেই টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পুলিশকে দেন।
মিথ্যা মামলা: টাকা দেওয়ার পরও পুলিশ তাঁকে নিস্তার দেয়নি। শারীরিক নির্যাতনের পর তাঁকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা (জি আর নং ৩০০/২৫) দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ওসির বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব: জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগে, সম্পাদকের স্ত্রী খালেদা ফোন ফেরত চাইতে গেলে ওসি হুমায়ুন কবির মোল্লা তাঁকে সরাসরি বলেন, "রাতে আমার বাংলোতে আসবেন, আমি আপনার ফোন দিব।"
ফোন ফেরত: পরবর্তীতে সম্পাদক জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ফোনটি আনতে গেলে এসআই জহুরুল ইসলাম বিভিন্ন অজুহাতের মাধ্যমে ঘুরাতে থাকেন। দীর্ঘ হয়রানির পর অবশেষে ফোনটি ফেরত দেওয়া হয়।নির্যাতন ও হয়রানির শিকার মোঃ মেহেদী হাসান এবং তাঁর পরিবার এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ছিনতাই হওয়া অর্থ ফেরত, এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।