মুফতি মাওলানা শামীম আহমেদ
ইসলামের ইতিহাসে শাহাদাত কোনো মৃত্যু নয়; বরং তা চিরজীবনের ঘোষণা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন
“যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না; বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা অনুভব করতে পারো না।” (সূরা আল-বাকারা: ১৫৪)
এই আয়াতের বাস্তব প্রতিচ্ছবি হলেন আমাদের সময়ের শহীদ ওসমান হাদী। তিনি কোনো সাধারণ নাম নন; তিনি ঈমান, সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক। অন্যায়, জুলুম ও ইসলামবিদ্বেষী শক্তির বিরুদ্ধে সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে তিনি প্রমাণ করেছেন—আল্লাহর পথে জীবন দেওয়া সর্বোচ্চ সৌভাগ্যের বিষয়।
শহীদ ওসমান হাদীর জীবন আমাদের শিক্ষা দেয়, ঈমান শুধু মুখের কথা নয়; বরং প্রয়োজন হলে তা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করার নাম। নবী করিম ﷺ বলেছেন—
“শহীদের রক্তের প্রথম ফোঁটায় তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (তিরমিজি)
আজকের সমাজে যখন ভোগবাদ, অন্যায় ও ভীরুতা আমাদের গ্রাস করছে, তখন শহীদ ওসমান হাদীর শাহাদাত আমাদের জাগিয়ে তোলে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন—সত্যের পথে চলা কঠিন হলেও তা আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যায়।
শহীদের পরিবার আমাদের জন্য পরীক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন। শহীদ ওসমান হাদীর পরিবার সেই ধৈর্য ও ঈমানের প্রতীক, যাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে ইনশাআল্লাহ।
আজ আমাদের কর্তব্য হলো শহীদদের আদর্শ বুকে ধারণ করা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, ইসলামের মূল্যবোধ রক্ষা করা এবং আল্লাহর দ্বীনের পথে অবিচল থাকা। তাহলেই শহীদ ওসমান হাদীর রক্ত বৃথা যাবে না।
আল্লাহ তায়ালা শহীদ ওসমান হাদীকে শহীদদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং আমাদেরকে তাঁর আদর্শে জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন—আমিন।