পাবনা প্রতিনিধি
ইসলামে শাহাদাত কোনো সাধারণ মৃত্যু নয়; এটি সম্মান, মর্যাদা ও আল্লাহর বিশেষ নিয়ামতপ্রাপ্ত একটি অবস্থান। আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন
“আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না; বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।” (সূরা আল-বাকারা: ১৫৪)
শহীদ ওসমান হাদী ছিলেন সেইসব সৌভাগ্যবান মানুষের একজন, যাঁরা সত্য, ন্যায় ও দ্বীনের পক্ষে অবিচল থেকে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি প্রমাণ করে গেছেন—একজন মুমিনের জীবনের প্রকৃত মূল্য আদর্শে, সুবিধায় নয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদের রক্ত প্রথম ফোঁটা পড়ার সাথেসাথেই তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়, জান্নাতে তার বিশেষ মর্যাদা নির্ধারিত হয়। হাদিসে এসেছে, শহীদ ব্যক্তি জান্নাতের নেয়ামত দেখে আবার দুনিয়ায় ফিরে এসে পুনরায় শহীদ হতে চাইবে—এই সম্মান ও প্রতিদানের কারণে।
শহীদ ওসমান হাদীর জীবন আমাদের শিক্ষা দেয়—
সত্যের পক্ষে দৃঢ় থাকতে
জুলুমের সামনে মাথা নত না করতে
দ্বীনের প্রশ্নে আপস না করতে
আজকের সমাজে যখন অন্যায়ের সাথে আপস করাকে বুদ্ধিমত্তা মনে করা হয়, তখন শহীদদের জীবন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—আখিরাতের সফলতা দুনিয়ার স্বার্থের ঊর্ধ্বে।
আমাদের দায়িত্ব শুধু শহীদদের স্মরণ করা নয়; বরং তাঁদের আদর্শ বাস্তব জীবনে ধারণ করা। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, হালাল পথে চলা, সত্য কথা বলা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াই হবে শহীদ ওসমান হাদীর প্রতি প্রকৃত সম্মান।
আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন, জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন এবং আমাদেরকে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করার তাওফিক দিন। আমিন।