ডেক্স নিউজ
শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে একজন সাংবাদিককে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও রাতভর বিনা ইশুতে থানায় আটকে রাখা হয় তাকে। পরে রাতের অন্ধকারে ভাড়াটিয়া অভিযোগকারী এনে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মামলা দিয়ে চালান করা হয়।
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ এবং মানবাধিকারকর্মীরা এই দমননীতি ও হয়রানিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই সাংবাদিক দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও ঘুষবাণিজ্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করছিলেন, যার ফলে শ্যামনগর থানার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই নস্যাৎমূলক পরিকল্পনা নিয়েছে।
ওসি হুমায়ুন কবির ও প্রেসক্লাব সভাপতি সামিউল মনিরের সঙ্গে মাদক ব্যবসায় ও ঘুষ বানিজ্যে গহীন সম্পর্ক রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। সাংবাদিকের প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে উভয়ের বিরুদ্ধেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তারা এবং প্রতিহিংসার জন্য ওই সাংবাদিককে টার্গেট করা হয়।
সম্পাদক মেহেদী হাসান ঢাকাতে কর্মরত থাকায় বাড়িতে বেড়াতে আসলে মনিরের নেতৃত্বে এদল দূর্বৃত্তওদের দিয়ে হামলা করিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।
বিনা ইশুতে আটক রাখার পর ভাড়াটিয়া অভিযোগকারী দিয়ে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে সম্পাদককে হয়রানি করার ঘটনা সমাজে গভীর হতাশা সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি কঠোর নিন্দা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
একজন নিরপেক্ষ তদন্তকারী এই ঘটনার প্রকৃত হেকড়ার সন্ধান দিতে পারলে স্পষ্ট হবে, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পুলিশের গোষ্ঠী নির্যাতনের নেপথ্যে কী ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
এই ধরনের ঘটনায় যারা সত্য প্রকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করে, তারা দেশের গণতন্ত্র ও আইনের প্রতি বিশ্বাসকে দুর্বল করে। তাই সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হয়রানিকে দ্রুত দমন করে যথাযথ বিচার করতে হবে।