আবুজার, গাজী, খুলনা বিভাগীয় প্রধান।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জাবাখালি গ্রামে পৈত্রিক ভিটার যাতায়াতের পথ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গোলাম হোসেন (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আদালতের মামলার নোটিশ বাড়িতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। পুলিশ দ্রুত অভিযানে কুখ্যাত সাবেক জলদস্যু সেলিম মোড়লসহ নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
https://youtu.be/5dq_szxxn0Q?si=j227nPGc-101yXN2
আদালতের দ্বারস্থ হওয়াই কি কাল হলো?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত গোলাম হোসেনের সাথে প্রতিপক্ষ এমান আলি মোড়লের ছেলেদের বাড়ির একটি ছোট্ট যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে গোলাম হোসেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাতক্ষীরা আদালতের শরণাপন্ন হন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে আদালতের মামলার নোটিশ বিবাদী পক্ষের হাতে পৌঁছালে তারা চরম হিংস্র হয়ে ওঠে। সকাল ৮টার দিকে সাইফুল, রেজাউল ও সাবেক জলদস্যু সেলিমের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোলাম হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। লোহার রড ও ধারালো ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ গোলাম হোসেন।
পুলিশের চৌকস অভিযান ও গ্রেপ্তার
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবের নেতৃত্বে শ্যামনগর থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল দ্রুত জাবাখালি গ্রাম ঘিরে ফেলে। পুলিশের এই সাড়াসি অভিযানে অভিযুক্তরা পালানোর সুযোগ পায়নি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাবেক জলদস্যু সেলিম মোড়ল (৫০), সাইফুল (৩৮), ফারুক (৩০), রেজাউল (৫৫) এবং পরিবারের নারী সদস্য মাছুমা, সফুরা ও জহুরাসহ মোট ৯ জন। পুলিশ এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দেশীয় অস্ত্র আলামত হিসেবে জব্দ করে।
এলাকায় চরম উত্তেজনা
হত্যাকাণ্ডের সংবাদে এলাকায় শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা ঘাতকদের বাড়িঘর ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে ভাঙচুর চালায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশি নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ খালেদুর রহমান জানান, আসামিদের আটক করা হয়েছে এবং লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। দ্রুতই মামলার পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
পরের তথ্য আসছে আমাদের দ্বিতীয় পর্বে...
কেন এই বিরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলো? ঘটনার সময় স্থানীয়দের ভূমিকা কী ছিল? তদন্তের পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।