মোঃশহিদুল ইসলাম, জামালপুর,প্রতিনিধি :
ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়ে নতুন জীবনে পা রেখেছিলেন তরুণী উশনিতা। বিয়ের স্বপ্ন নিয়ে সাজিয়েছিলেন রঙিন ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে গেল এক বছরের মধ্যেই। মাদারগঞ্জের গুনারীতলা কানিপাড়ার ওয়াজেদ মন্ডলের মেয়ে উশনিতা আর বেঁচে নেই।
মেলান্দহের মধ্যেরচর এলাকার রইচ উদ্দিনের ছেলে রবিনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই সংসারে সুখের বদলে নেমে আসে অশান্তি। স্বামীর হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়। তবুও উশনিতা বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন তার সংসার, স্বপ্ন দেখেছিলেন ভালোবাসা একদিন বদলে দেবে সবকিছু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্নই কবর দিল তার জীবনকে।
গতরাত গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন পেয়ে উশনিতার বাবার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়—উশনিতা নাকি আত্মহত্যা করেছে। ছুটে এসে পরিবারের সদস্যরা দেখেন, আত্মহত্যার কোনো আলামত নেই। চোখে পড়ে নিথর দেহ, আর ভেসে ওঠে মৃত্যুর রহস্য। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনার পর থেকেই উশনিতার স্বামী রবিন পলাতক রয়েছে। তবে আটক করা হয়েছে শ্বশুর ও শাশুড়িকে। অকালে প্রাণ হারানো এই তরুণীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুই পরিবারেই। যে ভালোবাসা দিয়ে শুরু হয়েছিল দাম্পত্য জীবন, সেই ভালোবাসারই আড়ালে শেষ হলো এক নারীর জীবনযাত্রা।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাসান আল-মামুন জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।