নিজস্ব প্রতিবেদক,
সাতক্ষীরার তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মিজানুর রহমানের বর্ণাঢ্য ও পরিচ্ছন্ন চাকরি জীবনে কলঙ্ক লেপন করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ কর্মজীবনে যার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কিংবা কোনো গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়নি, সেই পরিচ্ছন্ন ইমেজের কর্মকর্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কয়েক বছরের পুরোনো একটি খণ্ডিত ভিডিওকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
নায়েব মিজানুর রহমানের দীর্ঘ চাকরি জীবন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি সর্বদা সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক তদন্ত বা বিভাগীয় মামলা হয়নি। এমনকি স্থানীয় বা জাতীয় কোনো সংবাদপত্রে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ কখনো ওঠেনি। তালা সদর ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকেই তিনি সাধারণ মানুষকে হয়রানিমুক্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, যা এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে তাকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণের যে চেষ্টা চলছে, সেটি কয়েক বছর আগের। ওই ভিডিওর প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করেছে দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত ও ডিএসডি টিভি। তারা ভিডিওতে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন যে, সেটি ছিল নিয়মিত খাজনা পরিশোধের একটি মুহূর্ত। ওই ব্যক্তি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, মিজানুর রহমানকে সামাজিকভাবে হেয় করতে একটি প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ মহল গোপনে সেই ভিডিও ধারণ করে এখন তা ব্যবহার করছে।
স্থানীয়দের মতে, মিজানুর রহমান একজন নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ। ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ তার ব্যবহারে মুগ্ধ। স্থানীয়রা দাবি করেন, মিজানুর রহমান একজন পরোপকারী ও সৎ কর্মকর্তা বলেই আজ ষড়যন্ত্রকারীরা তার পিছু নিয়েছে। কোনো প্রকার প্রমাণ ছাড়াই একজন সরকারি কর্মকর্তার মানহানি করা সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা বা সামাজিক কাজ হতে পারে না।
এলাকাবাসীর দাবি, যারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একজন নিরপরাধ মানুষের সম্মানহানি করছে, তাদের খুঁজে বের করা উচিত। দীর্ঘ সময় ধরে কোনো অভিযোগ ছাড়া কাজ করে আসা একজন মানুষের নামে ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
নায়েব মিজানুর রহমান জানান, তিনি আইন ও বিধির বাইরে কখনোই কোনো কাজ করেননি। তাকে ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্যে এই পুরোনো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই।